চট্টগ্রাম, ০২ নভেম্বর, ২০২৩:
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের সমর্থকদের গাড়ি আটক করে মারধর, মোতালেবের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাংসদ ড. আবু রেজা নদভীকে নির্বাচন পূর্ব নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক শাহনেওয়াজ মনির এ আদেশ দেন।
নদভীর নিকট প্রেরিত চিঠি থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০নভেম্বর) বিকালে সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ও এওচিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দেওদীঘি বাজার এলাকায় আবু রেজা নদভীর কর্মী আমিনুল ইসলাম গং আব্দুল মোতালেব এর সমর্থকদের পরিবহনকারী গাড়ি দীর্ঘ সময় আটক করে কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে মোতালেব চট্টগ্রাম শহর অভিমুখে যাত্রাকালে উপজেলার কেরানীহাট এলাকায় নদভীর লোকজন অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসায়। তারা (নদভীর সমর্থক) মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। স্লোগান ও বক্তৃতায় মোতালেবের ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করে। এছাড়া সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুত অনুদানের ঘোষণা দিয়ে নদভী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩,৬(ক),৭(২)(৪), ১৭ পরিপন্থী। অভিযোগের বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নদভীকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অনুসন্ধান কমিটির নিকট শুনানি শেষে আবু রেজা নদভীর আইনজীবী শোয়েব আলী চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল মোতালেব দেওদীঘি ও কেরানীহাট এলাকায় যে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন সাংসদ আবু রেজা নদভী অবগত নয় বলে জানান। এ ছাড়া শুনানিকালে আদালত উভয় প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, আদালত এ বিষয়ে কমিশনের নিকট রিপোর্ট পাঠাবে বলে জানান।
Discussion about this post