বাংলাদেশ ক্রিকেটের জাতীয় দল টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। স্কটল্যা-ের কাছে হেরে বাছাই পর্ব অতিক্রম করে আজ সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের সাথে হেরে টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল। আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশকে আজ ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে। এর ফলে সুপার টুয়েলভে টানা দুই ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। আজ ব্যাটিং ব্যর্থতার সাথে যুক্ত হয়েছে বোলিং ব্যর্থতা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যখন এই হাল তখন তামিমের অভাব একান্তভাবে অনুভূত হচ্ছে দলে। আর দেশের ক্রিকেটপ্রেমিদেরও প্রশ্ন তামিম দলে নেই কেন? কেন তিনি টি টুয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে চাননি। যদিও তামিম ইকবাল বলেছেন তরুণদের সুযোড় দেওয়া ও তার টি টুয়েন্টির প্রস্তুতি না থাকায় তিনি এ বিশ্বকাপে খেলতে চান না। কিন্তু এটাই কি একমাত্র কারণ হতে পারে।
বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সৌম্য-লিটনের ব্যর্থ ওপেনিং জুটির কারণে তামিম ইকবাল আবারও আসেন আলোচনায়।
এবারের বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল কেন নেই এ নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন, নানা কৌতুহল।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন নিয়ে আবারও মুখোমুখি হন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিম ইকবাল বলেন, আমি খেলি নাই কেন এর অনেক কারণ আছে। কিছু কারণ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছি। আর কিছু কারণ হয়তোবা ভবিষ্যতে কোনোদিন বলব।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ দলের সাথে আছি এবং ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট উক্ত তিন ফরমেটেই দীর্ঘদিন যাবৎ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছি।
আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এই স্তরে এসে বুঝতে পারছি যে এখন যারা বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আছে তারা মোটামুটি ভালো খেলছেন। আর আমি মনে করিনা তাদের বর্তমানে বাংলাদেশ দলে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে আমাকে প্রয়োজন।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে কোন সংবাদ মাধ্যমে যেনো তাকে এই ব্যপারো কোন প্রশ্ন না করেন। তিনি সমপূর্ণ তার এই সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।
অথচ তামিমকে নিয়েই অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। একটু শঙ্কা ছিল চোট নিয়ে। হাঁটুর চোটের কারণে ঘরের মাঠের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর চোটের অবস্থা জানানোর কথা। কিন্তু আইসিসির নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ দল দিতে হতো ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
গত মার্চে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরুর পর জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলেও তামিম খেলছেন না। তবু তামিমকে রেখেই বাংলাদেশ আঁকছিল বিশ্বকাপের ছক। কিন্তু টানা টি-২০ না খেলায় তিনি বিশ্বকাপ দলে ‘অটোমেটিক চয়েজ’ হতে পারেন কি না, এ নিয়ে একটা আলোচনা ছিল। অটোমেটিক চয়েজ নিয়ে ভাবতে হবে কেন হয়তো এটাই অভিমানের প্রধান কারণ তামিমের।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে একের পর এক টাইগারদের হারে তামিমকে দলে যেমন অনুভূত হচ্ছে তেমনি ক্রিকেট প্রেমিরা তার না থাকার কারণে দলের এভাবে শোচনীয় ভরাডুবি হচ্ছে বলে মনে করছে।
আর আজকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটা সুযোগ ছিল ইংলিশদের সাথে টেক্কা দেয়ার। কারণ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও কখনো বাংলাদেশ আর ইংল্যা-ের মধ্যে টি টুয়েন্টি ম্যাচ হয়নি। বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়েই প্রথমবার খেলতে নেমে বাংলাদেশ হেরে গেল ্ংল্যান্ডের কাছে।
Discussion about this post