চট্টগ্রাম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেছেন, জনগণের মধ্যে চিকিৎসকের আস্থাটা ফিরিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রোগী বাইরে না গিয়ে বাইরের রোগী যাতে আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে আসে। যদি পরিবেশটা ভালো করে দিতে পারি তাহলে আমাদের চিকিৎসকরা অনেক অনেক ভালো করবে। এ ব্যাপারে সবার সাহায্য লাগবে।
তিনি প্রান্তিক মানুষের দোড়গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার আশা প্রকাশ করে বলেন, স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকলে যদি সাহায্য কর, সকলে যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আজ ২৭ জানয়ারি দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শাহ আলম বীরোত্তম মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সর্বস্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন এসব কথা বলেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের সচিব মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. টিটো মিয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ ইসমাইল খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার সাহেনা আক্তার, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী রত্না সেন।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ত্রিশ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করেন। এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চমেক হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে চমেক হাসপাতাল সংলগ্ন গোয়াছি বাগানের প্রস্তাবিত দেড়শ শয্যার চট্টগ্রাম বার্ন হাসপাতালের জায়গা পরিদর্শন করেন। চট্টগ্রাম বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালের জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বার্ন নিয়ে আমি অনেক দিন যুদ্ধ করে আসছি। আমি এই মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আমার একটা স্বপ্ন- এখানে যেন একটি বার্ন হাসপাতাল হয়। কাল প্রি একনেক মিটিং হবে। তারপর ডিপিপিটা পাস হবে। প্রি একনেক মিটিংয়ের পরে কাজ শুরু হবে। চাইনিজদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব। যাতে দেড়শ বেডের বার্নটা বানাইতে পারি। তাহলে চট্টগ্রামের বহু রোগীর উপকার হবে। এখান থেকে ঢাকায় রোগী যেতে যেতে পথে মারা যায়। এখানে স্বয়ং সম্পূর্ণ আইসিইউ হবে। এসডিও হবে। ওটিও হবে। আর এখানে হাসপাতালে একটি ত্রিশ বেডের আইসিউ করা উদ্বোধন করেছি। আমার মনে হয় রোগীর এখানে সুচিকিৎসা পাবেন।
এছাড়া বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালীন তার হোস্টেল ১০ সি কক্ষে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করেন যেটি বর্তমানে চট্টেশ্বরী রোডে চমেক এর প্রধান ছাত্রাবাস।
বেলা ১১ টার সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি চমেক হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবন ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র, ভেনম রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেন। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, স্বাস্থ্য , স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রধানগণ ও চিকিৎসকবৃন্দ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
Discussion about this post