চট্টগ্রাম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪:
নাব্য কমে আসায় পায়রা বন্দর এখন ক্রমেই অকার্যকর হয়ে পড়ছে। বর্তমানে কোনো ধরনের কার্গো জাহাজ পায়রায় ভিড়তে পারছে না। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন এসএম শরিফুর রহমান বলেন, কার্গো চলতে পারছে না। এগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, পায়রা বন্দরের রাবনাবাধ চ্যানেলে সাধারণ জাহাজ চলাচল করতে পারলেও সেগুলো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য দরকার হচ্ছে ছোট লাইটার জাহাজ। বর্তমানে এ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় পায়রা বন্দরের অর্থনৈতিক মুনাফাযোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। এটি এখন অনেকটা অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দরে পরিণত হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ১৪ আগস্ট রাবনাবাদ চ্যানেলের সর্বোচ্চ গভীরতা ছিল ৮ দশমিক ৭ মিটার। খনন বন্ধ থাকায় ধারাবাহিকভাবে পলি জমে গত ৫ সেপ্টেম্বর তা ৭ দশমিক ৩ মিটারে নেমে আসে। ২৫ সেপ্টেম্বর তা ৬ দশমিক ৬ মিটারে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
খননের মাধ্যমে গত বছরের মার্চের মধ্যেই গভীরতা সাড়ে ১০ মিটারে উন্নীত করা হয়। অথচ ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা বাড়াতে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু এরপর প্রকল্পের খনন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই পলি পড়ে ভরাট হতে থাকে রাবনাবাদ চ্যানেলের তলদেশ। খবর: বণিক বার্ার সৌজন্যে