চট্টগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪:
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী এলাকার রামদা খালের উপর রাবার ড্যাম (স্লুইসগেট) নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে সাতকানিয়া উপজেলার হাজার হাজার একর কৃষিজমি অনাবাদি রাখার অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সাতকানিয়া উপজেলার হলুদিয়া বাজারে বাজালিয়া ইউনিয়ন ও বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ব্যানার ও প্লেকার্ড বহন করে এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় বাজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আনিসুল ইসলাম সিকদার, বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী গ্রামের বাসিন্দা কাজী জাহাঙ্গীর আলম ও হাসিনা আক্তারসহ স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবান এলজিইডিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মাছ চাষ করার জন্য রামদা খালের উপর রাবার ড্যাম (স্লুইসগেট) নির্মাণ করে বান্দরবানের কাইচতলী ও সাতকানিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার কৃষককে চাষাবাদ থেকে বিরত রাখার পাঁয়তারা করছে। অবিলম্বে রামদা খালের উপর রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করতে হবে।
বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী গ্রামের বাসিন্দা কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রামদা খালের পাড়ে অনেক মানুষের বসবাস। রাবার ড্যাম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসতঘর বন্যার পানির নিচে ডুবে যাবে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের কিছু এজেন্ট রাবার ড্যাম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।
সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আনিসুল ইসলাম সিকদার বলেন, রাবার ড্যাম প্রকল্পটি নির্মিত হলে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া, মাহালিয়া, বড়দুয়ারা, চিতামুড়া ও কলঘর এলাকার হাজার হাজার কৃষিজমি সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পড়বে। এতে প্রায় ৫ হাজার কৃষক চাষাবাদ করতে না পেরে বেকার হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার অনুরোধ অবিলম্বে এই রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পটি বাতিল করা হোক।
এ বিষয়ে জানতে বান্দরবান জেলা এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সারোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রামদা খালের উপর রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখন দেখছি স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ও সাতকানিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রকল্পটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে প্রকল্পটি বাতিল করা হবে।
Discussion about this post