চট্টগ্রাম,১৯ অক্টোবর, ২০২১:
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১০৫ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা যে বাঙালিকে অবজ্ঞা করত তাদের পরাজিত করে পাকিস্তানের অহঙ্কার চূর্ণ করেছেন বাঙালি জাতি। বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। এর পেছনে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অপরিসীম। ইন্দিরা গান্ধী যদি আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় না দিত, প্রবাসী সরকার গঠনের সুযোগ না দিত, অস্ত্র না দিত আমদের স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হত। বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানের অন্যায়, অবিচার, হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যদি তখন কঠোর অবস্থান না নিতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুকেও আমরা ফিরে পেতাম না। তাই
বাঙালি জাতি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ইন্দিরাকে ভুলতে পারবে না। যে কারণে ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চির অমলিন। এটা কোন চুক্তির বন্ধুত্ব নয়। এটা অতি দুঃসময়ের বন্ধুত্ব।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জি। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের সৃষ্টিতে যে অবদান রেখেছেন তার ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি শহীদুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী সহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাঙ্গীন সহযোগিতাকারী ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নামে চট্টগ্রাম নগরীতে ইন্দিরা স্কয়ার স্থাপন করার দাবি জানান।
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু:১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর।
Discussion about this post