চট্টগ্রাম,২৮ এপ্রিল ২০২৫:
এপ্রিলের শুরুতে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি- এমন একটা খবর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের বরাতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল প্রফেসর ড. ইউনূস সরকারের সফলতা হিসাবে। এ খবরটিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার ডেইলি স্টার বাংলা সংস্করণ খবরে প্রকাশ করেছিল-‘প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের কথা নিশ্চিত করেছে মিয়ানমার। আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের কাছে মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউ এ কথা জানান।’
তবে আজ ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত দৈনিক সমকালের ভাইরাল খবর হচ্ছে-‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।’
#এ খবরে যা আছে
*২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেড় বছরে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করে।
*সব রোহিঙ্গার জন্য আবাসস্থলের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
*ইউএনএইচসিআর বলছে, আলাদা ঘর তৈরি করে দেওয়া সম্ভব না হলে দোতলা ঘর বানানো যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে।
*রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সমকালকে জানিয়েছে-এক লাখের বেশি নতুন রোহিঙ্গার আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে ইউএনএইচসিআরের একটি চিঠি পেয়েছি আমরা।
কিন্তু এত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।
*নতুনভাবে আসা রোহিঙ্গা অধিকাংশ বর্তমানে কক্সবাজারে ২০টি ক্যাম্পে তাদের আত্মীয়ের বাসায় রয়েছে।
* নতুন ১ লাখ ১৩ হাজারের মধ্যে বেশি এসেছে গত বছরের মে-জুনের পর।
*চলতি বছরের প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে।
*নতুন আসা ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ নারী, বাকিরা পুরুষ।
* যৌথভাবে নতুন রোহিঙ্গাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। তবে তাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।