চট্টগ্রাম, ৬মার্চ, ২০২২:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মৎস উৎপাদনের আমরা গবেষণা করে যাচ্ছি এবং অনেক সাফল্যও পেয়েছি। কিন্তু, সমুদ্র সম্পদ আহরণে আমাদের এখনো অনেক কাজ করতে হবে এবং আমরা সেটা করবো বলেই বিশ্বাস করি। সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে ‘ব্লু-ইকোনমির’ সম্ভাবনা অন্বেষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ মাঠে মেরিন ফিশারিজ চট্টগ্রামের ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মুজিববর্ষের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি যেমন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে তেমনি এসডিজিও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। করোনার কারণে এই অগ্রগতি কিছুটা বাধার সম্মুখীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।
ভার্চুয়ালি তিনি মেরিন ফিশারিজ ক্যাডেটদের প্যারেডের সালাম গ্রহণ করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা মহামারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য যে অবদান রেখেছেন, যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তা পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কোভিডের সময়ে ভাতার পরিসর শুধু বৃদ্ধি করেননি, ভাতার পরিমাণও বৃদ্ধি করেছেন। বিনা খরচে সকল নাগরিকদের টিকার ব্যবস্থা করেছেন। কোথাও কোনো হাহাকার তৈরি হতে দেননি। খাদ্যের সঙ্কট হয়নি। উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে গেছে। তেমনি মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে কোনো সেশনজট ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যখন সমুদ্র আইনের কথা ভাবতে পারেনি তখন জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্র আইন প্রণয়ন করেছেন। সেই আইনের উপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ সমুদ্র আইন প্রণয়ন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালিত্বকে কখনো বিসর্জন না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ভাষা, আত্মমর্যাদা, শক্তি ও সাহসে যে দৃপ্ত প্রত্যয় ছিল পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রনেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে ৪১ তম ব্যাচের নটিক্যাল বিভাগে ৩৩ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩১ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ২০ জন ক্যাডেট সহ সর্বমোট ৮৪ জন নারী ও পুরুষ ক্যাডেট পাসড আউট হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ক্যাডেটদের পদক বিতরণ করেন।
সকল বিভাগে সব্বোর্চ মান অর্জনকারী নটিক্যাল স্টাডিজের ক্যাডেট এইচ এম বেনুজির আহমেদ ‘বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল’ লাভ করেন। এছাড়া আসিফ আলম দর্পণ, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান আল ওয়াদুদ বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পান। শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসাবে রুপায়দা রহমান বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ সহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, নৌ দপ্তর সমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post