চট্টগ্রাম,২১ জুন, ২০২৩:
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল(চমাশিহা) ক্যান্সার হাসপাতাল আগামী অক্টোবরে চালু হচ্ছে। মা ও শিশু হাসপাতালের পাশেই ৮০ হাজার বর্গফুট আয়তনের জায়গায় ১০ তলা ভবনে বিশেষায়িত এই ক্যান্সার হাসপাতালটিতে ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যুক্ত করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে রেডিওথেরাপিসহ পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কর্তৃপক্ষ অগ্রসর হচ্ছে। ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বন্দরে পৌঁছে গেছে। বাকি মেশিনগুলো আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। ক্যান্সার চিকিৎসার মেশিন বসানোর জন্য বেইসফ্রেম স্থাপন করা হয়েছে।দেশের খ্যাতনামা ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আমাদের হাসপাতালে যোগ দিচ্ছেন। কোরবানি ঈদের পর তিনি এখানে নিয়মিত বসবেন এবং রোগী দেখবেন।এটি চালু হলে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে। রেডিওথেরাপিসহ ক্যান্সারের সব ধরনের চিকিৎসা এই হাসপাতালে প্রদান করা হবে। চট্টগ্রামের সরকারি–বেসরকারি কোনো পর্যায়ে ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নেই বললেই চলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি পর্যায়ে কেমোথেরাপি দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল।চমাশিহা ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হলে ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপির সঙ্কট কেটে যাবে।
রেডিওথেরাপির সুযোগও কম। চমেক হাসপাতালে সীমিত সুযোগ–সুবিধা থাকলেও বেসরকারি কোনো হাসপাতালে রেডিওথেরাপি দেয়া যায় না। ঢাকায়ও সিরিয়াল দিয়ে সাত–আট মাস অপেক্ষা করার পর রেডিওথেরাপি দেয়া যায়। এই সঙ্কটও কেটে যাবে চমাশিহা ক্যান্সার হাসপাতাল চালু হলে।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, চাকরিজীবী, গৃহবধূসহ সর্বস্তরের মানুষ হাসপাতালের জন্য আর্থিক প্রদান করেছে। মানুষের টাকায় এই হাসপাতাল গড়ার কার্যক্রমে শরিক হন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল (চমাশিহা) ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটি অনুদান সংগ্রহসহ নানাভাবে কাজ করে আসছিলেন দীর্ঘদিন থেকে। ১০১ সদস্যের ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে কমিটি দেশে–বিদেশে মানুষের কাছ ফান্ড সংগ্রহ করে আসছিল। তারাই চট্টগ্রামে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। তারাই এটি প্রতিষ্ঠা করছে। হাসপাতালটির জন্য ইতোমধ্যে ৫০ কোটির বেশি টাকা সংগ্রহ করেছে কমিটি। গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি আমদানি করা হচ্ছে। হাসপাতালের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। তবে হাসপাতালটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হলে প্রয়োজন আরও প্রচুর টাকা প্রয়োজন বলে কমিটি সূত্র জানায়।
Discussion about this post