চট্টগ্রাম,১৩ জানুয়ারি, ২০২৪:
চট্টগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। নগর থেকে গাঁও-গ্রাম জুড়ে শীতে বিপর্যস্ত। শীতের হানায় বয়স্ক ও শিশুদের কষ্ট হচ্ছে বেশি। শীতকালীন রোগে ভুগছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এছাড়া ব্যাপক শীতে জনজীবনের কর্মচাঞ্চল্যে নিয়ে এসেছে কিছুটা স্থবিরতা। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আজ চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সে.। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে-৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। নওগাঁর বদলগাছিতে ছিল-৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বার্তায় তারা জানিয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা সহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি
থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সর্বচ্চো তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সে।
তবে গতকাল সর্বচ্চো তাপমাত্রা ছিল ২১.২ডিগ্রি সে., সর্বনিম্ন ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সে.।
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী গতকালের চেয়ে আজ শীতের মাত্রা কম।
তবে পৌষের শেষে অব্যাহত নিম্ন তাপমাত্রা চট্টগ্রাম নগরে শীতের তীব্রতা বেশ ভালোই টের পাচ্ছে মানুষ। গতকাল সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেছে মাঝেমধ্যে। সে তুলনায় আজকের সূর্যের উঁকিঝুঁকি বাড়ে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে শীতে কাবু হয়ে পড়ে বাসাবাড়ির ভেতরে বাইরে সকলে।
তবে আগামীকাল আবছা রোদে সর্বচ্চো তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহওয়া দপ্তর। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে বলে জানায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা সহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।
Discussion about this post