চট্টগ্রাম, ৩০ অক্টোবর,২০২৫:
চট্টগ্রাম বন্দর গ্রিন পোর্ট টেকনোলজি এডাপ্ট করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, “গ্লোবাল যে ইনিশিয়েটিভ আছে সেটা অনুসারে সব পোর্টই গ্রিন পোর্ট হচ্ছে। যে কারণে কার্বন ফুটপ্রিন্ট জিরো পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য যে মাইলস্টোন দেওয়া আছে, সেজন্য আমরা গ্রিন টেকনোলজি এডাপ্ট করতে যাচ্ছি। পোর্টকে সাসটেইনেবল করা এবং সেটার জন্য আসলে একটা হলিস্টিক স্টাডি দরকার। সেজন্য আমরা ইতিমধ্যে জাইকার সাথে কাজ করছি। উনাদের সাথে পোর্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছি। আগামী মাসে আমাদের পোর্ট স্ট্র্যাটেজি ফাইনাল হয়ে যাবে।”
গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান উপকূলীয় এলাকার ইকোসিস্টেম নিয়ে শঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, “অনেক কিছু আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি। সেখানে টোটাল যে আমাদের ইকোসিস্টেম, এ ইকোসিস্টেমের কারণে আমাদের টোটাল কোস্টাল কমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আমাদের দেশ কিন্তু নদীমাতৃক দেশ। টোটাল ইকো সিস্টেমকে আমরা কিভাবে আরো কনজার্ভ করতে পারি, কিভাবে কিভাবে আরো প্রটেক্ট করতে পারি সেটার জন্য হলিস্টিক ন্যাশনাল একটা প্রায়োরিটি সেট করে ন্যাশনাল লেভেলে স্টাডি করা উচিত। যাতে সাসটেইনবলি মেনটেইন দ্যা ইকোসিস্টেম।”
তিনি গ্রিন পোর্টের ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে বলেন, “আমাদের স্টাডিটা হবে। জাইকা ফিজিবিলিটি স্টাডি করে আমাদের কাছে টোটাল প্রপোজাল আমাদের কাছে শর্টলি দেবে। এটা ফ্রি অব কস্টে হচ্ছে।”
তবে গ্রিন পোর্টের অস্তিত্ব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি বর্জ্যের কারণে। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের নদীর(কর্ণফুলী) ভিতর যে বর্জ্যগুলো আসে এটা আসলে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই যে আমাদের হাজার কোটি টাকার উপরে খরচ হয়ে গেছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং সহ মেনটেইনেন্স করতে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের নাব্যতা ধরে রাখা। নেভিগেবল চ্যানেল যদি না থাকে চট্টগ্রামের কিন্তু অস্তিত্ব থাকবে না। চট্টগ্রাম কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে বন্দরের উপরে। সেটা আন্তর্জাতিক বন্দর।
বন্দর চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, “নাব্যতা মেইনটেইন করতে আমাদের সব সময় ইনভেস্টমেন্ট করতে হচ্ছে, আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আমরা মেজর চ্যালেঞ্জটা ফেস করতেছি বর্জ্যের কারণে। ”
তিনি চট্টগ্রামের বর্জ্যকে সম্পদে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ বর্জ্য যদি টেকনোলজিতে নিয়ে আসতে পারি তাহলে গ্রিন মিথানল, গ্রিন এমোনিয়া তৈরি করা সম্ভব তার সাথে বায়ো প্রোডাক্ট ফার্টিলাইজার এন্ড আদারস। এটা কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে আছে। এটা করতে পারলে চিটাগাং সিটি কর্পোরেশন উইল বি গ্রেটলি বেনিফিটেড।”
তিনি বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্ব উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আসলে সুস্থ পরিবেশ চাই, সুস্থভাবে বসবাস করতে চাই। আমাদের প্রাকৃতিক রির্সোস যেগুলো আছে বিশেষ করে প্রাণী বিশেষ করে মৎস্য এটার উপর অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। এটার জন্য ড্রেজিং করতে গেলেও আমাদেরকে অনেক চিন্তা করতে হয়। ড্রেজিং করব এর ইফেক্টটা কেমন হবে। আমাদের কমিউনিটির উপর ইফেক্টটা কেমন হবে।”






