চট্টগ্রাম, ২৮ জুলাই, ২০২২:
আজ ২৮ জুলাই, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।’হেপাটাইটিসে আর অপেক্ষা নয়’প্রতিপাদ্যের আলোকে এ বছর হেপাটাইটিস দিবস পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর মোহাম্মদ আলী রোডের রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে লিভার কেয়ার সোসাইটির আলোচনা সভা, রোগী সমাবেশ ও ফ্রি হেপাটাইটিস স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, বিএমএ’র সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার অলোক কুমার রাহা, সমাজ সেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপ পরিচালক ফরিদুল আলম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আলোচনা সভার সভাপতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
বক্তারা বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে হেপাটাইটিসমুক্ত দেখতে চায়। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। দেশের সর্বত্র হেপাটাইটিসের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের আগে হেপাটাইটিস দিবসের একটি সচেতনতা র্যালি মোহাম্মদ আলী রোড ঘুরে আসে।
অনুষ্ঠানে হেপাটাইটিস চিকিৎসক, রোগী সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে হেপাটাইটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলেন, ৫ ধরনের হেপাটাইটিস আছে।
দূষিত, অনিরাপদ পানি ও খাবার,
অস্বাস্থ্যকর পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে হেপাটাইটিস আক্রান্ত হয় মানুষ। হেপাটাইটিসমুক্ত মানুষদের
আক্রান্ত ব্যক্তির নিবিড় সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।
দূষিত রক্ত গ্রহণ, রোগি
শিরায় মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী, অরক্ষিত যৌনাভ্যাস, একে অন্যের ব্যবহৃত শেভিং রেজার, ব্লেড,
টুথব্রাশ থেকে হেপাটাইটিস সংক্রমণ হতে পারে।
চিকিৎসকগণ বলেন, হেপাটাইটিসে এইডসের চেয়ে বেশি রোগী মারা যায়। এটি এইডসের চেয়ে দশগুণ বেশি সংক্রামক।
চিকিৎসকগণ বলেন, হেপাটাইটিস
আক্রান্ত দশ জনের মধ্যে নয় জনই জানে না এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যক্তিবিশেষ। এজন্য হেপাটাইটিসে আক্রান্ত কিনা জানার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা করার আহ্বান জানান।
চিকিৎসকগণ হেপাটাইটিসের চিকিৎসা, পরীক্ষানীরিক্ষা ও ঔষধের দাম আরো কমানো সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাহলে রোগের সংক্রমণ কমানো সম্ভব হবে।
হেপাটাইটিস থেকে সুস্থ হলেও সারাজীবন রোগীকে ফলোআপে থাকতে হয়।
চিকিৎসকগণ বলেন, ডেন্টাল চিকিৎসকদের যে সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন সেগুলো জীবাণুমুক্ত না করার কারণে হেপাটাইটিসের বি ও সি ভাইরাস ছড়ায়। এছাড়া
মুসলমানির চাকু, সেলুন ও পার্লার থেকে হেপাটাইটিস ছড়ায়।
তারা বলেন, পৃথিবীতে প্রতি ত্রিশ সেকেন্ডে হেপাটাইটিস আক্রান্ত একজন রোগী মারা যায়।
অনুষ্ঠানে লিভার কেয়ার সোসাইটির ওয়েব সাইট উদ্বোধন করা হয়।
Discussion about this post