চট্টগ্রাম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩:
ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা চট্টগ্রাম নগরী। রাস্তাঘাটে মানুষজন নেই বললেই। রাস্তায় কিছু গাড়ি চলাচল করলেও তাদের অনেকটা যাত্রী শূন্য এসব গাড়ি। তবে বিকাল থেকে মানুষ বাড়তে পাওে এমন আশা গাড়ি চালকদের। কারণ মানুষ বিভিন্ন পর্যটর স্পটে ঘুরতে বের হলে মানুষের চলাচল বাড়বে। যারা শহর ছেড়ে যায়নি তারা ঘর থেকে বের হ॥ে
তবে মানুষের চলাচল না থাকলে যানবাহনগুলো যে পরিমাণ যাত্রী আছে তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে করেছেন সকল যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার থেকে মাহেন্দ্রা গাড়ির যাত্রী আরমান বলেন, জিইসির মোড় থেকে এখানে আসার ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ নেওয়া হচ্ছে। গ্যাস চালিত এসব যানবাহনগুলে ঈদেও একদিন আগে থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
তবে মাহেন্দ্রা ছাড়াও ডিজেলচালিত ও গ্যাসচালিত সকল গণপরিবহন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বলে যাত্রীদেও অভিযোগ। বাস, টেম্পো, ডিজেল চালিত গণপরিবন ৪ স্ট্রোক অটো রিকশা, সিএনজি অটো রিকশা সকল গাড়িতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এক বাসচালক বলেন, ঈদে প্রতিবছর বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। কয়েকদিন এই বাড়ািত ভাড়াতেই যাত্রী পরিবহণ করা হয়। এটা তো সাধারণ ব্যাপার।
যাত্রীরা বলেন, তারা বাড়তি ভাড়া জোর কওে নিচ্ছে। যাত্রীদেও এই অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার সার্মথ্য আছে কিনা সেটাও তো দেখার বিষয় আছে। আর এটা একটা অন্যায়, এই অন্যায় রোধের কোনো ব্যবস্থা এদেশে নেই।
আনিস নামে এক যাত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই ঈদ করতে পারছে না। যারা টানাটানির মধ্যে ঈদ উদযাপন করতে চেষ্টা করছে তারা এভাবে জুলুম কতটা সহ্য করবে। আর এই বাড়তি টাকা দেওয়ার সার্মথ্য আছে কিনা দেখার বিষয়।
বাড়তি ভাড়ার ভয়ে অনেকের বাইরে বের হবার ইচ্ছা থাকলেও বের হচ্ছেন না। কারণ ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হলে গাড়িতে অনেক ভাড়া গুণতে হবে। যদি সাধারণ ভাড়া নেয়া হত তাহলে মানুষের সাশ্রয় হত। ঈদের আনন্দ উদযাপন সবার পক্ষে সম্ভব হত।
এদিকে দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামের মানুষ এবার শহরে ফিরতে দেরি হতে পারে ধারণা অনেকের। যে কারণে নগরী একেবারে ফাঁকা। মানুষের চলাচল কম। যাদেও বাধ্যগত অফিস ডিউটি থাকবে তারাই শহরে আসবে আগেভাগে।
অন্যদিকে আবহাওয়ার বিষয়টাও একটি কারণ। বিশেষ করে ঈদের আগে কয়েক সপ্তাহের গরমে মানুষ একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই কর্মক্লান্ত মানুষ ধীরেসুস্থে নগরীতে প্রবেশ করবে এমনটাই বলছেন- গ্রামে ফেরা মানুষরাও।