চট্টগ্রাম,১৫ এপ্রিল,২০২৪:
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোক উৎসব। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় উদযাপিত হয় এ নববর্ষ। একসময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ জন্য বাঙালি জাতিকে অতীতের সকল গ্লানি ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করতে হবে।
রোববার (১৪এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ ইউনিয়নের আমিলাইষ শক্তি সংঘের উদ্যোগে ব্যাংক ময়দানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্য সাতকানিয়ার ইউএনও মিল্টন বিশ্বাস এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভার সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, আমিলাইষ শক্তি সংঘ ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন ছিল, যা কোনো ধরনের চিড় না ধরে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন এখনো এলাকায় বিরাজমান। আগামীতেও সকল সম্প্রদায়ের লোকজন আমিলাইষের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমিলাইষ শক্তিসংঘের সভাপতি শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে এবং মো. আলমগীর সাদেক ও মাস্টার প্রিয়জিৎ দাশের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- আমিলাইষ ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চৌধুরী, আমিলাইষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, আমিলাইষ ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ. এম হানিফ, আমিলাইষ শক্তি সংঘের সহ-সভাপতি নুপুর চৌধুরী, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শম্ভু দাশ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ সওদাগর। আলোচনা সভা শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় শক্তি সংঘের ব্যাংক ময়দানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়।
Discussion about this post