চট্টগ্রাম, ২৪ মে, ২০২৫:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই উপজেলা সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার সীমান্ত এলাকায় ব্রিজ নির্মাণে বাঁধা ও উন্নয়নকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। আজ ২৪ মে সকালে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাকানিয়া জানার পাড়ার অন্তর্গত নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সোনাকানিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন, বড়হাতিয়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা, জানার পাড়া জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সভাপতি লেয়াকত আলী, স্থানীয় জামায়াত নেতা মো. সেলিম, শাহাদাত হোসেন, মছনের হাট দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হাফেজ শাহ আলম, আইনজীবী নেজাম উদ্দিন, জামায়াত নেতা মঈনুদ্দীন, আব্দুল আজিজ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মানাধীন ব্রিজটি সাতকানিয়ার অংশ এবং স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল। এই ব্রিজটি ব্যবহারের মাধ্যমে চলাচলের পাশাপাশি এ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কৃষিসহ প্রয়োজনীয় কাজে উপকার ভোগ করবে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল চায় ব্রিজটি এ স্থানে নির্মাণ না হয়ে অন্য আরেকটি স্থানে নির্মাণ হোক, যেটি লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এমনকি তারা বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করেছেন, যা ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, তিনি আমাদেরকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, একজন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী চাচ্ছেন ব্রিজটি অন্য আরেকটি জায়গায় নির্মাণ করা হোক। যে জায়গাটি তার নানার বাড়ি এলাকা এবং লোহাগাড়ার আওতাভুক্ত। এছাড়াও ওই জায়গায় ব্রিজটি নির্মাণ করতে গেলে আলাদাভাবে সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ করে তারপর ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাতকানিয়ার বরাদ্দ কেন লোহাগাড়ায় চলে যাবে? আমরা উক্ত ব্রিজ নির্মাণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ব্রিজটি একটি বাড়ির সামনে হচ্ছে বলে যে অভিযোগ সেটি সত্য নয়। আমি ব্রিজ নির্মানাধীন জায়গায় গিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকশ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজের অপর পাশে মাদ্রাসা। মানুষের বসতবাড়ি ও ক্ষেত খামারসহ মানুষের যাতায়াত রয়েছে। এছাড়াও এটি সাতকানিয়ার প্রজেক্ট এবং দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। যদি এ প্রজেক্ট স্থানান্তর কিংবা কাজ বন্ধ করতে চায় তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পারবে।